বর্তমানে এআই দিয়ে তৈরি ছবি বা ডিপফেইক (Deepfake) অনেক সময় বাস্তবের মতোই লাগে। তবে কিছু কৌশল অনুসরণ করলে পার্থক্য বোঝা সম্ভব। নিচে ধাপে ধাপে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
১. ছবিটি জুম করে খেয়াল করুন
প্রথমেই ছবিটি জুম করে মানুষের চোখ, মুখ, চোয়াল, হাত ও আঙুলের দিকে ভালো করে লক্ষ্য করুন। অনেক সময় মুখের চারপাশ ঝাপসা হতে পারে বা আঙুলের সংখ্যা ও গঠন অস্বাভাবিক দেখাতে পারে। ভিডিও হলে কথার সঙ্গে ঠোঁটের ছন্দ না মিলতেও পারে।
২. মানুষের আবেগ ও অভিব্যক্তি মিলিয়ে দেখুন
এআই এখনও নিখুঁতভাবে মানুষের হাসি, কান্না বা উচ্ছ্বাস ফুটিয়ে তুলতে পারে না। বাস্তব মানুষের আবেগের সঙ্গে শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া মেলে, যা কৃত্রিম ছবিতে ঠিকভাবে নকল করা কঠিন।
৩. একবারে পুরো ছবি পর্যবেক্ষণ করুন
এআই-generated ছবিতে সাধারণত ছোটখাটো অসঙ্গতি থাকে। বিশেষ করে গ্রুপ ছবি বা জটিল দৃশ্য বানাতে গিয়ে ভুল চোখে পড়তে পারে—কারও হাতের আকার অস্বাভাবিক, কারও পোশাক বেমানান, কিংবা অবাস্তব আলো-ছায়ার উপস্থিতি।
৪. ব্যাকগ্রাউন্ড লক্ষ্য করুন
ডিপফেইক বা এআই ছবি বানাতে গিয়ে অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ড বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। বিষয়বস্তুর সঙ্গে প্রেক্ষাপট অসামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে—যেমন ছায়ার দিক ঠিক না থাকা, বা অবাস্তব স্থান ও বস্তুর উপস্থিতি।
৫. ছবির ইতিহাস যাচাই করুন
ছবিটি কেন তোলা হয়েছে বা কোথায় প্রকাশিত হয়েছে তা খুঁজে দেখুন। সার্চ ইঞ্জিনে ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে এর উৎস পাওয়া যেতে পারে। জনপ্রিয় ব্যক্তি বা সেলিব্রিটিদের ছবির ক্ষেত্রে সহজেই বোঝা যায় আসল না নকল।
উপসংহার
এআই ছবি বা ডিপফেইক বোঝা এখন চ্যালেঞ্জিং হলেও উপরোক্ত কৌশলগুলো মেনে চললে পার্থক্য করা সহজ হয়। সর্বোপরি, ছবির সত্যতা যাচাই করতে সবসময় গবেষণাভিত্তিক মানসিকতা বজায় রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
No comments:
Post a Comment